Offer

খুব সহজে স্থায়ী ভাবে মোটা হ‌ওয়ার কার্যকরী উপায় – টিপস জানুন

মোটা হওয়ার সহজ উপায় ১০টি কার্যকরী টিপস জেনে থাকুন

Rate this post

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” আমরা সকলেই জানি সুস্বাস্থ্য আমাদের জন্য কতটা জরুরি। বর্তমানে অনেকেই শরীর রোগা পাতলা হওয়ার জন্য দুশ্চিন্তাই ভুগছেন। কেন দিন দিন স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। ডাক্তারের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। আজ আমরা আপনাদের সাথে এই বিষয় নিয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকের পোস্ট থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন কিভাবে খুব সহজে মোটা হওয়া যায়।

মোটা হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেই চলছে কিন্তু কেউ সঠিক সমাধান দিতে পারছে না। এর জন্য আপনারা কি করবেন আজকের পোস্ট থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন। প্রাকৃতিকভাবে স্হায়ীভাবে মোটা হওয়ার জন্য আপনাদের কিছু পরামর্শ আজকে দেওয়া হবে । আপনারা পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন।

মোটা হওয়ার ঘরোয়া পদ্ধতি

মোটা হওয়ার বেশ কিছু ভালো উপায় রয়েছে । কিন্তু উপায় গুলো আমাদের অজানা। অনেকে স্বাস্থ্যের ওজন বেশি হওয়ার জন্য চিন্তিত আবার অনেকে পাতলা হওয়ার জন্য চিন্তিত। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের কাছে অনেকে জানতে চান কিভাবে স্থায়ী মোটা হওয়া যাবে। মোটা হওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সকাল, বিকাল, রাত এর খাবারের তালিকা করতে হবে। তালিকায় প্রোটিনযুক্ত‌ , ক্যালরিযুক্ত এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার থাকতে হবে। এসব উপায় অবলম্বন করলে শরীরের উন্নতি দেখতে পারবেন। এছাড়া কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে শরীরের পরিবর্তন চলে আসবে।

স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার জন্য নিচে ধাপে ধাপে আপনাদের করণীয় গুলো আলোচনা করা হলো। মোটা হওয়ার জন্য প্রোটিন অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা প্রোটিন ছাড়া ওজন বাড়ানো সম্ভব নয়। একজন মানুষের দৈনন্দিন ১.৫ থেকে ২.২ গ্রাম প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। ড্রাই ফ্রুটছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে তাই এগুলো শরীরের জন্য অনেক ভালো।

আমি কিভাবে মোটা হবো ?

শরীর স্বাভাবিক রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে হবে। ক্যালরি দেহের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এমন খাবার খেলে খুব দ্রুত শরীরের ওজন বেড়ে যায়। যেমন ভাত, রুটি এসব খাবারের প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। তাই আপনাদের খাবার তালিকায় ভাত রুটি রাখতে পারেন। যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে পারেন।

মোটা হওয়ার জন্য খাদ্য তালিকা

তাজা শাক-সবজি খেলে শরীর সুস্থ থাকে শরীরের ওজন কমানো বা বাড়ানো যে কারণেই হোক না কেন শাকসবজির কোন বিকল্প নেই । পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খেলে শরীর সুস্থ থাকে। আম , কাঁঠাল ,লিচু ,কাঁচা কলা, পাকা পেঁপে ,মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ফল এবং সবজি খেলে দেহের ওজন বাড়ে। ভাতের মারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে এবং ভাতের মারে স্টার্চ রয়েছে যা আমাদের শরীরকে খুব দ্রুত বাড়তে সহায়তা করে ।

ভাতের মার খেলে শরীরের পরিবর্তন অবশ্যই হবে ইনশাল্লাহ। ঘুমানোর আগে দুধ এবং মধু মিশিয়ে খেলে অনেকটাই কাজে দিবে । এছাড়া ছোলা ভিজানো পানি এবং কাঁচা ছোলা খেলে শরীরের উন্নতি হয়। দিনে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টি ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ছোলা এবং তার ভিজানো পানি খেলে অবশ্যই শরীরের পরিবর্তন হবে।

খুব কম সময়ের প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্য পরিবর্তনের জন্য এটি একটি দারুন পদ্ধতি। এছাড়া আপনি বিকেলের নাস্তা হিসেবে পাস্তা এবং নুডুলস খেতে পারেন । পাস্তা এবং নুডুলস কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার। পাস্তা এবং নুডুলস শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

নিয়মিত ব্যায়াম এর মাধ্যমে আমাদের শরীরে পরিবর্তন হবে । শরীরের পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে। স্বাস্থ্য বাড়ানো বা কমানো উভয়ের জন্য আলাদা আলাদা ব্যায়াম থাকে। আপনি যদি মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করতে চান তাহলে সে ধরনের ব্যায়াম সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন কোনো জিমন্যাস্টিক এর থেকে।

তাদের দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে আশা করি আপনি খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে পারবেন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোন জিমন্যাস্টিক সেন্টারে যোগাযোগ করুন। আরো একটি বিকল্প পদ্ধতি হলো ইউটিউবে আপনি সার্চ দিয়ে জিম সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিতে পারেন।

মোটা হওয়ার জন্য ইসলামিক উপায় ও রয়েছে। আমার কাছে এটিই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। অনেকেই স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার জন্য পদ্ধতিটি অনুসরণ করে থাকেন। হাদিসে এসেছে “হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত” তিনি বলেন, আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে রাসুল সাঃ এর নিকট পাঠাবেন, কিন্তু কোন ফল হয়নি ।

শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা বা খিরা খাওয়াতে থাকলে আমি তাতে উত্তম রুপে স্বাস্থ্যের অধিকারী হই । এছাড়া “আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত” তিনি বলেন, নবী করীম (সা) শসা এবং খেজুর একসাথে খেতেন । শরীর সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখতে শসা আর খেজুর খাওয়া তেমন কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়।

শেষ কথা

আশাকরি সবাই উপরের তথ্যগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। যারা স্থায়ীভাবে মোটা হতে চাচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আজকের আর্টিকেলটি পড়লে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

Mehebur Hasan Siam

My only passion is to be Successful Freelancer. I write Content about all Educational News and Information. I'm working on this Website since July 2021.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button