সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম- অনলাইনে যেভাবে সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করবেন
Certificate Correction Form Dhaka Education Board
সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম- অনলাইনে যেভাবে সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করবেন | Certificate Correction Form Dhaka Education Board | উপরের হেডলাইন দেখে আপনারা নিশ্চয়ই অনুমান করে নিয়েছেন সে আমরা আজ কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। হা আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো অনলাইনে কিভাবে সার্টিফিকেট এর ভুল সংশোধন করা যায়। আপনারা অনেকেই জানেন না অনলাইনে সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করা যায়। যারা জানেন না তারা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। ইতিমধ্যেই যারা আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখছেন তাদের সকলকে জানাই স্বাগতম। চলুন সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে আসা যাক।
মানুষের জীবন চালনার জন্য শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শিক্ষা ছাড়া সমাজে সম্মান এর সাথে জীবন যাপন করা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে যায়।আর যে মানুষটি শিক্ষিত তার লিখিত প্রমাণ হল তার সার্টিফিকেট । বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় পাশের পর প্রাপ্ত সনদপত্র অনেকের নাম ও অন্যান্য তথ্য ভুল থাকে সেগুলো সংশোধন করতে শিক্ষা বোর্ডে যাতায়াত করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় । এতে অর্থশ্রম উভয়ই বেশি খরচ হয়। তবে আপনি চাইলে এখন থেকে অনলাইনে কাজটি সেরে ফেলতে পারেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন আবেদন করে নামসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন আপনি নিজেই। প্রশ্ন আসে কিভাবে ?চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সার্টিফিকেট সংশোধন ২০২২
নাম্বার জন্ম তারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি বা এফিডেভিট করতে হবে। প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয় তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থীদের মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান তাহলে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে। এতে খরচ হবে ৫০০ টাকা।(কম বেশি লাগতে পারে)।
যেভাবে অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন দেখুন এখানে
ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করার নতুন নিয়ম ২০২২
Jommo Nibondon/birth certificate online
সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম
হলফনামা সম্পাদনের পর একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে ।বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেটের নাম বাবার নাম, মায়ের নাম ,শাখা, পরীক্ষার সাল ,পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম, রোল নাম্বার, বোর্ডের নাম এবং জন্ম তারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান তার সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে ।এজন্য আপনার খরচ হবে ৩০০ টাকা।(কম বেশি লাগতে পারে)।
এই দুটি কাজ সম্পূর্ণ করার পর আপনি যে স্কুল বা কলেজে পড়ালেখা করেছেন সেটির সাহায্য লাগবে (অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে এর কোন বিকল্প নেই)। এবার আপনি উপরে উল্লেখিত দুটি কাজ ও আপনার বাবা- মায়ের নাম সংশোধন হলে তাদের সার্টিফিকেট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড /আপনার নিজের হলে জন্ম সনদ নিয়ে সরাসরি আপনার প্রতিষ্ঠানে চলে যান। এই কাজটি আপনি বাসায় বসে করতে পারবেন না ,কারণ এটি কলেজের EIIN ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে করা হয় ।এর একটি সুবিধা আপনাকে শিক্ষা বোর্ডে যেতে হচ্ছে না নিজের স্কুল থেকেই কাজ হয়ে যাবে।
[জেনে রাখুন ] হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম ও উপায়
সার্টিফিকেট সংশোধন এর জন্য যা যা প্রয়োজন
কাজগুলো সাজিয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধান কে জানান। তিনি আপনার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার অপারেটরকে অনলাইন আবেদন করার জন্য নির্দেশনা দেবেন আপনার ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আবেদন করলে ফোনে মেসেজ চলে আসবে ।তারপর সোনালী ব্যাংকে আবেদন ফ্রি জমা দেওয়ার জন্য একটা রশিদ নিবেন ৫৫৮ টাকা জমা দিতে হবে (প্রতিটির জন্য)। টাকা জমা দেওয়ার পর রশিদ অবশ্যই যত্ন করে রাখবেন ।আবেদন ফি জমা না দিলে আপনার আবেদন গৃহীত হবে না ।আবেদন ফি জমা করার পর আপনার জন্য এডুকেশন বোর্ডের ওয়েবসাইটে আলাদা একটা প্রোফাইল তৈরি হবে।
সেখানে লগইন করে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন ।টাকা জমা দেওয়ার পর তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে ।আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন মাস বা বেশি সময় লাগবে ।যখন কাজ শেষ হবে তখন আপনার মোবাইল ফোনে মেসেজ চলে আসবে এবং আপনি আপনার প্রোফাইলে লগইন করবেন। সেখানে আপনার জন্য নতুন একটি অপশন আসবে ‘ডকুমেন্ট উত্তোলন’। সেই অপশনে গিয়ে আপনি ডকুমেন্ট উত্তোলনের আবেদন করবেন।
এবার কলেজ যাওয়ার প্রয়োজন নেই ,কারণ এখন আপনার কাছে সেই সাইটে লগইনের জন্য পাসওয়ার্ড আছে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে যে ডকুমেন্ট উত্তোলন করতে চান সেটার জন্য ঘরে বসে আবেদন করুন। আবেদন করার জন্য উত্তোলন ফি বাবদ ৫৫৮ টাকা সোনালী ব্যাংকে পে করার জন্য একটা ডকুমেন্টস পেয়ে যাবেন ।সেটা নিয়ে ব্যাংকে যায় আগের মতই ফ্রি জমা দিন।
NID Card Online Copy Download – ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড
অনলাইনে যেভাবে সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করবেন
কাজ শেষ এবার এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। তারপর আপনার ফোনে মেসেজ চলে আসবে আপনার ডকুমেন্টস রেডি তখন আপনি আবার আপনার প্রোফাইল লগইন করে উত্তোলন করার চূড়ান্ত ডকুমেন্টস ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন। এবার আপনাকে প্রথমবারের মতো শিক্ষা বোর্ডে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে চার নম্বর ভুবনের ৫ তলায় আপনার অরিজিনাল সার্টিফিকেট জমা দিন ।এর পরের দিন বিকেলে আবার সেই অফিসে যান, চূড়ান্ত ডকুমেন্টস ও ব্যাংকে যে ফি জমা দিয়েছিলেন সেটির মূল কপি জমা দিয়ে বুঝে নিন আপনার নতুন সংশোধিত সার্টিফিকেট।
সম্পূর্ণ প্রসেসটি শেষ হতে ১৪৩ দিন সময় লাগবে (কম বেশি লাগতে পারে)। অনলাইনে কোন প্রকার তদবির ও অতিরিক্ত ফি প্রদান ছাড়া কাজটি করতে হলে আপনাকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আর মনে রাখবেন আপনি বৈধ উপায়ে কাজ করলে যে তৃপ্তি পাবেন সেটার কিছুতেই পাবেন না। আর এখন এটা আরো সহজ কারো টেবিলে ফাইল নিয়ে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই ।সবাই সচেতন হলেই দপ্তর হবে দুর্নীতিমুক্ত।
Recommend :
- JSC Certificate Correction Online 2022
- SSC Certificate Correction Online 2022
- HSC Certificate Correction Online 2022
সার্টিফিকেট সংশোধন এর অর্থ খরচ
- বলে রাখা ভালো, এইচএসসি সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন ফি ৫৫৮×২=১১১৬ টাকা।
- সার্টিফিকেট উত্তোলন ফি ৫৫৮×২=১১১৬ টাকা (২টি)।
- মোট খরচ:৩০৩২ টাকা (কিছু কম বেশি হবে)। ট্রান্সপোর্ট বাবদ আরো কিছু খরচ ধরে রাখা বাঞ্ছনীয়।
আমাদের পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।